hsc

পানির প্রাকৃতিক দূষণ-আর্সেনিক দূষণ ও এর প্রভাব

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র | | NCTB BOOK

পানির প্রাকৃতিক দূষণ: আর্সেনিক দূষণ

পানির প্রাকৃতিক দূষণের অন্যতম মারাত্মক সমস্যা হলো আর্সেনিক দূষণ। আর্সেনিক একটি প্রাকৃতিক রাসায়নিক উপাদান যা ভূগর্ভস্থ পানিতে মিশে গিয়ে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। এটি প্রধানত প্রাকৃতিক ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানিতে প্রবেশ করে।


আর্সেনিক দূষণের কারণ

  1. ভূতাত্ত্বিক গঠন: ভূগর্ভস্থ শিলাস্তরের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে থাকা আর্সেনিক পানিতে মিশে যায়।
  2. কৃষি ও শিল্প কারখানা: কীটনাশক ও শিল্পজাত রাসায়নিক ব্যবহার আর্সেনিক দূষণ বাড়িয়ে তোলে।
  3. অপ্রতুল পানি ব্যবস্থাপনা: সঠিকভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের অভাবে আর্সেনিক দূষণ ত্বরান্বিত হয়।

আর্সেনিক দূষণের প্রভাব

মানব স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব

  • আর্সেনিকজনিত চর্মরোগ: ত্বকে দাগ, ফোসকা, এবং ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি।
  • অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি: কিডনি, লিভার এবং হার্টের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
  • মানসিক ও শারীরিক বিকলাঙ্গতা: দীর্ঘমেয়াদে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য অবনতি ঘটে।

পরিবেশের উপর প্রভাব

  • জলজ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি: আর্সেনিক দূষণ জলজ জীবের প্রজনন এবং জীবনচক্র ব্যাহত করে।
  • মাটির উর্বরতা হ্রাস: আর্সেনিক দূষণের কারণে মাটির গুণমান ও উর্বরতা হ্রাস পায়।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  1. নিরাপদ পানির উৎস: বিকল্প পানির উৎস যেমন গভীর নলকূপ বা পরিশোধিত পানি ব্যবহার করা।
  2. সচেতনতা বৃদ্ধি: আর্সেনিক দূষণের ক্ষতি ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা।
  3. সরকারি উদ্যোগ: নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগ।

সারাংশ

আর্সেনিক দূষণ একটি গুরুতর সমস্যা, যা মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য।

Content added By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

Promotion